টি.আই.আরিফ:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে তৃণমূলের মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল সাংগঠনিক শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। একই সাথে যে সকল শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি সেখানে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী এক মাসের মধ্যে কাউন্সিল সম্পন্ন হওয়া শাখাসমূহের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের এই নির্দেশ নেওয়া হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সেই চিঠি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া হচ্ছে। চিঠির অনুলিপি থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছেও যাবে।
এখন দেখার অপেক্ষা নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন কখন হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবরে আব্দুল হাইকে সভাপতি , ভিপি বাদল কে সাধারণ সম্পাদক ,নাসিক মেয়র আইভী কে সিনিয়র সহ সভাপতি করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয় । এর পরের বছর ২০১৭ সালে ৭৪ সদস্যের জেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
২০১৩ সালে আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও খোকন সাহাকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এর দুই বছর পর ২০১৫ সালে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সুত্রের খবর এবার নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি হবে নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে। কমিটিতে আসতে নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে লবিং শুরু করে দিয়েছে। তারা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত রয়েছেন। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বও আছে। এছাড়া চলতি বছর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনও হওয়ার কথা রয়েছে। তাতে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। কাকে কোন জায়গায় রাখবেন তা নির্ভর করছে দলের প্রধান শেখ হাসিনার উপর।